উত্তরদিনাজপুর

অ্যাম্বুলেন্সে চলল গুলি, ঘটনায় উত্তেজনা চোপড়া এলাকায়

মুমুর্ষ ছেলের জীবন বাঁচাতে রক্তদাতাদের নিয়ে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় চলল গুলি। অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পেলেন অসহায় বাবা সহ রক্তদাতারা। অ্যাম্বুলেন্সে বসেই তার কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল বন্দুকের গুলি। ঘটনায় দুস্কৃতিদের পাথরের আঘাতে জখম হল দুই যুবক। বৃহস্পতিবার ইসলামপুর হাসপাতাল থেকে চোপড়া যাবার পথে বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

একদিকে আতঙ্ক আর অন্যদিকে রক্তের অভাবে মুমূর্ষু ছেলেকে রক্ত দিতে না পারার যন্ত্রনায় ইসলামপুর হাসপাতালে রীতিমতো কেঁদে ফেললেন বাবা আলি হোসেন। এদিন ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, রক্তদানে রাজি হওয়ায় তার গুঞ্জরিয়া এলাকার প্রতিবেশী পাঁচজন যুবককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি তার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার রাতে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন ছেলেকে বাঁচাতে বেশ কয়েক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও যখন রক্তের জোগাড় করতে পারেননি তখন নিজের এলাকার পাঁচজন ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেখানে। কিন্তু চোপড়া ঢোকার মুহূর্তেই প্রথমে দুষ্কৃতিরা আটকে দেয় অ্যাম্বুলেন্সের পথ। অসহায় ছেলেকে রক্ত দিয়ে বাঁচানোর জন্য হাতজোড় করে রোগীর বাবার করুন আবেদন পৌঁছায়নি দুষ্কৃতিদের কানে। কিন্তু রোগীকে দেখতে না পেয়ে ততক্ষনে গাড়ির যাত্রীদের উদ্দেশ্যে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। শুধু তাই নয় গাড়িকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয় ব্ল;এ অভিযোগ। এই ঘটনায় দুই জন রক্তদাতা আহত হয়। কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে যে ছেলেটি তার জন্য কিভাবে রক্ত পৌঁছাবেন ওই অসহায় বাবা তা জানেন না। 

অন্যদিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক বাপ্পা রায় জানান, তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। তার স্টিয়ারিং এর সামনের কাঁচ ভেদ করে গুলি পেছনের দিকের কাঁচ দিয়ে বেরিয়ে যায়। একটুর জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।